উত্তর কাট্টলী থেকে ‘ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক’ আটক

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার আওতাধীন উত্তর কাট্টলী থেকে ডা. খোরশেদ আলম (৪২) নামে এক ‘ভুয়া চিকিৎসক’কে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উত্তর কাট্টলী এলাকার কর্ণেল জোন্স রোডের হাজী ইব্রাহিম ম্যানসনের কাট্টলী মেডিকেল হক নামের একটি ফার্মেসীর চেম্বার থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর কাজ নিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় হিসেবে।  সেই চাকরি ছেড়ে ‘ডাক্তার’ সেজে খুলেছেন চেম্বার; নামের পাশে লাগিয়েছেন চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন ডিগ্রি।
মুহাম্মদ খোরশেদ আলম (৪২) নামে এই ব্যক্তি আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলীর কর্নেল জোন্স রোডের কাট্টলী মেডিকেল হল নামক একটি ফার্মেসিতে ‘নিউরোমেডিসিন, স্মায়ুরোগ ও ডায়াবেটিস’ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে নিয়মিত রোগী দেখতেন ।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তিনি জানিয়েছেন, তার সব ডিগ্রি ভুয়া।  তিনি মাধ্যমিক পাসও করতে পারেননি।
আকবরশাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর কাট্টলী থেকে ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রিধারী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।  তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন’।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, খোরশেদ তার নামের সাথে এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) ডিগ্রি ও ‘নিউরোমেডিসিন, স্মায়ুরোগ ও ডায়াবেটিস’ বিশেষজ্ঞ যুক্ত করেছেন।  কর্নেল জোন্স রোডে কাট্টলী মেডিকেল হল নামে একটি ফার্মেসিতে বসে রোগীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ভিজিটও নিতেন।  তার চেম্বার থেকে সিলমোহর, ভিজিটিং কার্ড, প্রেসক্রিপশন, চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
ওসি জহির বলেন, এর আগে ২০১৭ সালে মাগুরা সদরে এবং ২০১৩ সালে কুমিল্লায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়ে এক বছর ও ছয় মাস করে সাজা পেয়েছিলেন খোরশেদ।  চট্টগ্রামে এসে আবার প্রতারণা শুরু করেছে।
খোরশেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ছদ্মবেশ ধারণের অভিযোগে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

পুলিশ জানায়, খোরশেদ আলমের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়।  তিনি এক সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কাজ করতেন।  আটকের সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের একাধিক সনদ উদ্ধার করা হলেও তার কোনোটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।  

ডিসি/এসআইকে/আরএআর