কারখানার ব্যানার সাঁটিয়ে চট্টগ্রামে চলছে যাত্রী পরিবহন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সামনে-পেছনে বিভিন্ন কারখানার ব্যানার সাঁটিয়ে চট্টগ্রামে চলছে গণপরিবহন।  বাস, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে চলছে যাত্রী পরিবহন।  নানান অজুহাতে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি যা দিনে দিনে লক্ষ্যণীয়ভাবে বাড়ছে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কর্ণেলহাট, অলংকার মোড়সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে নগরের দুই নম্বর গেইটে ভোর ৬ টায় দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মোড়টিতে একের পর এক বাস আসতে থাকে।  বেশিরভাগ গাড়ির সামনে কোনো না কোনো কারখানার ব্যানার লাগানো দেখা যায়।  কিন্তু গাড়ির কাছে যেতেই হেলপারদের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রী ডাকতে দেখা যায়।
সকাল সাতটার দিকে দুই নম্বর গেট মোড়ে স্বাধীনতা পার্কের পাশে একটি থানা পুলিশের গাড়ি দেখা যায়।  কাছে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই গাড়ির ভেতরের এক পুলিশ সদস্য জানান, ‘আমরা লকডাউনের ডিউটিতে আসি নাই।  থানা পুলিশের নিয়মিত টহলের দায়িত্বে আছি’।
জানতে চাইলে ১০ নম্বর বাসের চালক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজনে তো বের হয়েছি।  তাছাড়া লকডাউনের মধ্যে আমাদের পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে আছি।  কেউ তো আমাদের এক কেজি চাল দিচ্ছে না।  এখন পুলিশ আসার আগে কয়েকটা ট্রিপ মারতে পারি কি-না দেখছি’।
সামনে কারখানার ব্যানার লাগানো কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতবার লকডাউনে একটা কারখানার ভাড়া মারছিলাম।  ওই ব্যানার ছিল।  পুলিশ যাতে না ধরে সে জন্য ব্যানারটা আবার লাগালাম’।
কঠোর লকডাউনে (বিধিনিষেধ) পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করা গাড়ি ছাড়া সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার।  এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  কিন্তু তারা তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করার আগে চট্টগ্রাম নগরে ভোরে গণপরিবহন চলতে দেখা যায়।  আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করলে গাড়ি চলাচল কমে যায়।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুই দফা ঘোষণায় ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।  এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা রয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর