সীতাকুণ্ডে ট্রাকচালক হত্যার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গরুবাহী গাড়ির চালক আবদুর রহমান হত্যা মামলার আসামি মো. কাজল (৪৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন।  আজ শনিবার (৭ আগস্ট) ভোরগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাজল-ই গত ১৬ জুলাই চারটার দিকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কের ঘটনায় ট্রাকের চালকের মুখে গুলি চালান।
সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার ভোরগত রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব- ৭ এর এক অফিসার ফোন করে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর দেন।  এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাজলের লাশ উদ্ধার করে।  লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, র‌্যাব সদস্যরা খবর পেয়েছিলেন, ওই এলাকায় কয়েকজন ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।  এ সময় ডাকাতদের ধরতে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল।  র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব পাল্টা গুলি ছুড়ে।
এএসপি নুরুল আবছার আরো জানান, কাজলের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও খুনের মামলা রয়েছে।  লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৬ জুলাই ভোরে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়কে ডাকাতদলের কবলে পড়ে গরুবাহী ট্রাকটি।  ওই সময় দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গুলিতে চালক আবদুর রহমান নিহত হন।  নিহত আবদুর রহমান যশোরের চৌগাছা উপজেলার চন্দাগ্রাম এলাকার মো. বশির মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হলে আটজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।  এদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  জবানবন্দিতে তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডাকাত কাজলকে অভিযুক্ত করেছিলেন বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কাজলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।  এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি গুলি, ২টি এলজি, ১৫টি কার্তুজ, ১টি কার্তুজের খোসা, ২টি রামদা ও ১টি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।  র‌্যাবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ভোরে গরু লুট করতে না পেরে গরুবাহী ট্রাকের চালককে গুলি করে হত্যা করে একদল ডাকাত।  ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির এক আত্মীয় থানায় হত্যা মামলা করেন।  এ ঘটনায় র‌্যাবের হাতে মোট আটজন গ্রেফতার হন।  তাদের মধ্যে চারজন খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাজল-ই ঐদিন ট্রাকচালক আবদুর রহমানকে গুলি করেন বলে আদালতে দেওয়া চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে। আটককৃত অন্য চার আসামি বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসইউ