রাঙ্গুনিয়ায় ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে দেবর?

উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে ইস্কান্দার (২৮) নামে এক যুবক ও তার স্ত্রী রুমার (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের কুরমাইকুল এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।  ইস্কান্দার ওই এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, শুক্রবার রাতে লালানগর ইউনিয়ন এলাকা থেকে প্রবাসফেরত এক যুবক ও তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইস্কান্দার ও রুমার দুইবছর আগে বিয়ে হয়।  তাদের সংসারে এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।  কাতারপ্রবাসী ইস্কান্দার গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন।  শুক্রবার রাতে একই কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ রুমা আক্তারের বাবা জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রায় সময় নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতো দেবর আরিফ।  এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সতর্কও করা হয়েছে।  আমার ধারণা তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে।  বিকেলে মেয়ের সঙ্গে আমার মুঠোফোনে কথা হয়েছিল।  মেয়েকে বেড়াতে আসতে বলেছিলাম।  কয়েকদিন পর আসবে বলে জানায়।  এরপর রাত হতেই শুনি এ ঘটনা।  স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো সমস্যা হলে কথা বলার সময় আমাকে জানাতো’।
জানা গেছে, দুই বছর আগে সামাজিকভাবে ইসকান্দরের সঙ্গে রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন কাতারে থাকলেও ১০ আগস্ট দেশে ফেরেন ইসকান্দর।
ইসকান্দরের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাত্র তিনদিন আগে দেশে ফিরেছে। সন্ধ্যার দিকে আমি নাতিকে নিয়ে উঠানে খেলছিলাম। পরে ঘরে এসে তাদের কক্ষ বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করি। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখি দুজনই ঝুলছে। পরে এলাকার লোকজন ডেকে দরজা ভেঙে তাদের নামিয়ে ফেলি।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, একই কক্ষে এক ওড়নায় ঝুলছিলেন দুজন। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাদের নামান বলে জেনেছি। খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে জানা যাবে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসইউ