চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা, ৫ জন গ্রেফতার

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে এক ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে ডলার হাতিয়ে নেওয়ার সময় পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই ফ্রিল্যান্সার।
এর আগে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া তিন হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- যশোরের মনিরাপুর থানার পলাশ হোসেন, পাবনার সুজানগর থানার খয়রান গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকার আশুলিয়া থানার জামগড়া গ্রামের জাকির আহমেদ জীবন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার পুকুরহাটি গ্রামের মো. শামীম মিয়া ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের আল ইমরান।
তাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ক্রাইম পেট্রোল বিডির ক্রাইম চিফ, জাকির আহমেদ জীবন উপস্থাপক, শামীম মিয়া সংবাদদাতা ও ইমরান ক্যামেরাম্যান পরিচয় দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে কথিত এই সংবাদ মাধ্যমটির পরিচয়পত্রও উদ্ধার করা হয়। পরিচয়পত্রে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ঢাকা জেলার উত্তরা পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির এআর টাওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ফ্রিল্যান্সার আমিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং করা উপার্জিত ডলার বেচার বিজ্ঞাপন দেন ফেসবুকে তিনি। ডলার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে একজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডলার কেনার জন্য জেল রোডে আসেন তিনি। তার ই-ওয়ালেট থেকে ডলার কিনতে আগ্রহী পলাশ হোসেনের ওয়ালেটে তিন হাজার ডলার ট্রান্সফার করেন আমিরুল। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয়ে ক্যামেরা নিয়ে পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে হুমকি দিতে থাকেন। এসময় কৌশলে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন আমিরুল। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। একজন সটকে পড়েন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার এসআই মোমিনুল হাসান বলেন,’একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে ডলার নেওয়ার পর টাকা না দিয়ে তাকে জিম্মি করে গাড়িতে তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় চারজনকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা নিজেদের ক্রাইম পেট্রোল বিডির ক্রাইম চিফ, সংবাদদাতা, উপস্থাপক ও ক্যামেরাম্যান পরিচয় দেন। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৮৫০ ডলার ও ১৫০ ডলার সমপরিমান টাকা উদ্ধার করা হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘এরা সংঘবদ্ধ চক্র। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টার্গেট। ডলার কেনা-বেচার বিজ্ঞাপন দেখে তারা যোগাযোগ করেন। ডলার ট্রান্সফারের পর সাংবাদিক পরিচয়ে ফ্রিল্যান্সারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে চলে যান।’

ডিসি/এসআইকে/আরএআর