চট্টগ্রামে ২ সন্তানসহ স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরীর মোহাম্মদপুরের ইসমাইল কলোনির একটি বাসা থেকে দুই শিশু সন্তানসহ এক মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো- মা সুমিতা খাতুন, মেয়ে জান্নাতুল (৭) ও ছেলে সান (৩)।
আজ শুক্রবার সকালে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী সোহেলকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সোহেল স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা মা ও দুই ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছি। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, মা ও আড়াই বছর বয়সী ছেলেটির লাশ দুটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। সাত বছর বয়সী মেয়েটির লাশ পাওয়া গেছে খাটে শোয়ানো অবস্থায়। সেখানে আসলে কী ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ওই পরিবারের পরিচয়ও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
নিহতের আত্মীয় এবং বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বামী সোহেল রানা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মোহাম্মদপুরের ওই কলোনীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন। ভবনের পাশেই তার একটি হোমিওপ্যাথিকের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘরে ফিরে স্বামী সোহেল রানা অনেক ডাকাডাকি করেন স্ত্রী সুমিতা খাতুনকে। কিন্তু কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তিনি দাড়োয়ানকে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে অতিরিক্ত চাবি আনার জন্য বলেন। সেই চাবি দিয়ে দরজা খুললেও ভেতর থেকে আটকানো থাকায় ঘরে ঢুকতে পারছিলেন না তিনি। পরে স্ত্রী সুমিতার আত্মীয় এবং বাড়িওয়ালার পরাপর্শে পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করেন সোহেল রানা। মধ্যরাতে পুলিশ গিয়েও দরজা খুলতে পারেনি। পরে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সুমিতা খাতুন ও তার ছেলের মরদেহ রশিতে ঝুলতে দেখেন এবং মেয়ের মৃতদেহ খাটে শোয়ানো অবস্থায় পায়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড়ে মুদি ব্যবসায়ী মোস্তফা সওদাগর, তার স্ত্রী জেসমিন ও ছেলে আহমদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় ছেলে সাদেককে আটক করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর