রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আতঙ্ক ২০ সন্ত্রাসী সংগঠন

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় রয়েছে ২০টি সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রায় ৫ হাজার সদস্য। দিন-রাত তাদের অপতৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ক্যাম্পের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, গত চার বছরে ২২৬ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ও পারস্পরিক সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। সবশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় এসব ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এক এনজিও কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি ক্যাম্পে আরসা, আল ইয়াকিন, আরএসও, ইসলামি মাহাত-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তৎপরতা দৃশ্যমান। তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ত্রাণ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাইমুল হক বলেন, কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ক্যাম্পে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। অপহরণ-নির্যাতন চালাচ্ছে। এদের দমনে আমরা সক্রিয় আছি।
টেকনাফের ১৬ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের আস্তানা চিহ্নিতকরণ ও দমনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। প্রতিটি ক্যাম্পে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে টার্গেট করে অভিযান ও গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে নজরদারি আরো বাড়াতে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কাজ চলছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ