চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষে আহত ১২

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সিনিয়রদের জুনিয়র শিক্ষার্থীরা সম্মান না করার জের ধরে কথা কাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে এ সংঘর্ষ নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গত সোমবার গভীর রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। রাতেই আহতদের চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন ফজলে রাব্বি, রাশেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ, আশরাফুল ইসলাম আশিক, রাজীব হোসেন, অভিজিৎ দত্ত, পারভেজ হোসাইন, মাইদুল হাসান ও বাপ্পারাজ তালুকদার। তাদের মধ্যে নয় জনকে চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে হোস্টেল উপদেষ্টা কমিটির সামনে দু’পক্ষের দু’জন তর্কে জড়িয়ে পড়লে তারা মিটমাট করে দেন। পরে রাত ২ টার দিকে দুই পক্ষ আবার জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারে নোয়াখালী জেলার শিক্ষার্থীরা আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তাদের সাথে অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে ১৩ জনকে আটক করেছে। এছাড়াও লোহার রডসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় মামলা করা হবে’।
ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সপ্তম সেমিস্টারের সিনিয়রদের সাথে পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। বিভিন্ন সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-উত্তেজনা চলে আসছিল। সোমবার রাতে জুনিয়র ছেলেরা সিনিয়রদের উপর হামলা চালালে অনেকেই আহত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আশেক উল্লাহ বলেন, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে মারামারিতে আহত দশজনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকেই পরে রিলিজ নিয়ে চলে গেছেন। তবে কী নিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে জানতে পারিনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ