টুকুকে এলাকা থেকে সরানোর কী হলো, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ইউপি নির্বাচনের মধ্যে এলাকায় অবস্থানরত সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে সরানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি কী হল, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে টুকুর পাবনার বেড়ায় অবস্থানের মধ্যে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ তা জানতে চেয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। ওই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন এবং বড় ভাইয়ের মেয়ে এস এম সাদিয়া আলম।
স্থানীয় সংসদ সদস্য টুকু তার ছেলের প্রতিপক্ষ বাতেনের সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে; যদিও টুকু তা অস্বীকার করছেন।
তবে এলাকার বাইরে থাকতে ইসির অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনি এলাকাতেই রয়েছেন।
বাতেন তাই হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তার শুনানি নিয়ে সোমবার আদালতের আদেশ হয়।
টুকুকে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা জানতে চাওয়া হয়েছে আদেশে। অর্থাৎ, ওই চিঠির পরও তিনি এলাকা ছেড়েছেন কি না, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মো. সাইফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “রিটার্নিং অফিসার সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে নোটিস দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে রবিবার দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘মায়াদয়া করব না, পিষে দেব’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেটিও আদালতে দেখিয়েছি। আদালত পাবনার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আদেশ দিয়েছেন। ১৪ নভেম্বর দেওয়া চিঠি কতটুকু প্রতিপালিত হচ্ছে, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিয়ে জানাতে বলেছেন হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার আবার মামলাটি কার্যতালিকায় আসবে’।
সংসদ সদস্য হিসেবে টুকুর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রচার চালানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা টুকু ২০০৮ সালে পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও করা হয় তাকে। পরের দুটি নির্বাচনেও তিনি ওই আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে মন্ত্রিসভায় আর স্থান পাননি তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ