কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের পর প্রায় দুদিন কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে মামলার দ্রুত তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংকালে কক্সবাজার জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানান। তার দাবি, ‘ওই নারীর সঙ্গে আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক পূর্ব পরিচিত। তিনি গত তিন মাস ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলাটি থানায় রুজু হওয়ার পর তদন্তের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ওইদিন রাতে ভুক্তভোগীকে নিয়ে আসামি আশিক মোটরসাইকেলে করে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে যায়। আমরা চাই মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা উদ্ঘাটন হোক এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক’।
অভিযুক্ত আশিকের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১৬টি মামলা রয়েছে উল্লেখ করে ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি বলেন, ‘আসামি আশিক গত ১৬ ডিসেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ছাড়া পাওয়ার পরপরই তার সেই পূর্বের অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়’।
এর আগে, স্বামী-সন্তানসহ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছেন ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি পাঁচতলা হোটেলে। ওই দিন বিকালে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে লাবণী বিচে যান। রাতে হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। বাধা দিলে তার সঙ্গেও তর্কে জড়ায় যুবক। ওই সময় আরও দুই যুবক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। তারা স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে ওই নারীকে আলাদা করে ফেলে। পরে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে তিন জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে এক যুবক স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাকে হোটেলের রুমে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। শেষে রুমের দরজা বাইর থেকে আটকে পালিয়ে যায়। হোটেল থেকে বেরিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন ওই নারী। পুলিশের কোনও সহায়তা না পেয়ে র্যাবকে খবর দেন। তখন হোটেলে আসে র্যাব।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ভুক্তভোগীর স্বামী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পরও কেটে গেছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়।
ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ