কক্সবাজারে এবার কিশোরীকে হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারে এবার স্কুলছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। ‘পর্যটক ধর্ষণের’ ঘটনায় তিন দিন ধরে যখন সারা দেশে আলোচনা চলছে, তখনই কক্সবাজারে আরেকটি ধর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, কলাতলীর মামস আবাসিক হোটেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জিম্মি রেখে দুদিন ধরে ধর্ষণ করেছে মোহাম্মদ আশিক নামে এক যুবক। জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ভুক্তভোগী। সদর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। গত ১৮ ডিসেম্বর মামলা নথিভুক্ত হয়। এরপর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কোনও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো আসামিরা ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবারটি।
ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফলাফল জেনে বাড়ি ফেরার পথে উত্তর নুনিয়ারছড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ১৫ ডিসেম্বর রাতে তাকে একটি গাড়ি করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।
অভিযুক্ত আশিকের এক স্বজন দাবি করেন, তাদের (ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা উভয়েই বিয়েতে রাজি। তবে মেয়ের পরিবার মানছে না।
মামস আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মো. শাহীন দাবি করেন, ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নামে কেউ তাদের হোটেলে ছিল না। হোটেলটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ওই তারিখের ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি’।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ