সিলভার স্পুন-কুটুমবাড়িসহ ৯ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ দফা কড়া নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।  ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবার মাস্ক পরা এবং টিকার সনদ প্রদর্শনপূর্বক খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা ছিল।  কিন্তু তা অমান্য করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে- এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে খাবার পরিবেশন করায় ৯টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত সেন্টমার্টিন হোটেলের বনেদি রেস্টুরেন্ট, কপার সিমনি, কাচ্চি ডাইন, কুটুমবাড়িসহ ৯টি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে এবং সেখানে খেতে আসা গ্রাহকদের এই জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।  তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মানুষ খাবার গ্রহণ করছে এবং বিক্রেতারা কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খাবার পরিবেশন করছেন।  তাই সতর্কতামূলক তাদের জরিমানা করা হয়েছে।  প্রজ্ঞাপন বলবৎ থাকা পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান মারুফা বেগম নেলী।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র বলছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মানায় নগরের ৯টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করা হয়েছে।  এর মধ্যে আগ্রাবাদের সেন্টমার্টিন হোটেলের বনেদি রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, সিলভার স্পুনকে ৫ হাজার, দি কপার চিমনিকে ৫ হাজার, কাচ্চি ডাইনকে ৫ হাজার, ওরিয়েন্ট রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, গ্র্যান্ড মোগলকে ৫ হাজার, দামপাড়ার হান্ডিকে ৫ হাজার, ধাবাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১২ মামলায় ৪৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানকালে গ্রাহকদের টিকা সনদ ও মাস্ক পরার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য রেস্টুরেন্ট মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়েও সচেতন করা হয়।  অভিযানে সিএমপি, চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় শাখা থেকে ১১ দফা বিধি-নিষেধ জারি করে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়।  সিনিয়র সহকারী সচিব সাইফুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।  এসব নির্দেশনার অন্যতম দুইটি ছিল- দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে না হবে।  না পরলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে; রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন সনদ প্রদর্শন করতে হবে; অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।  স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।

ডিসি/এসআইকে/আরসি