সাতকানিয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হলেও শনাক্ত হয়নি অস্ত্রধারী

দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে।  ভোটে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  এসব দৃশ্য দেখে সহিংসতাকারীদের শনাক্ত করছেন স্থানীয়রা।  এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন অনেকেই।  তবে একই উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের একটি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ঘুরছে ফেসবুকে।  যদিও ঘটনাটি নির্বাচনের পরদিন বিজয়ী এক মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে সশস্ত্র হামলার।  ওই ফুটেজে অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।  যাকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  এর পরদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মো. ফরহাদ উদ্দিনের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার দিন ৭টা ৩৩ মিনিটে একদল লোক লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে নির্বাচিত সদস্য ফরহাদের বাড়ি ও বাইরে হামলা চালাচ্ছেন।  ওই ভিডিও’র এক মিনিট ২৭ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সময়ে একনলা বন্দুক হাতে শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।  তবে তাকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি কেউ।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, ‘ছবি-ভিডিওর দৃশ্য আমাকে একটু পাঠান।  আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি’।
জানা গেছে, সাতকানিয়ায় নির্বাচনে নলুয়ায় ছুরিকাঘাতে এক শিশু এবং বাজালিয়া ইউনিয়নে গোলাগুলিতে শুক্কুর নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।  এছাড়া খাগরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনার পর ওই ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
নির্বাচনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদরদপ্তর, চট্টগ্রাম র‌্যাব, চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং সাতকানিয়া থানা পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রবাজদের গ্রেফতার করে।
নির্বাচনকে ঘিরে করা ২০ টিরও অধিক মামলায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।  নির্বাচনে সহিংসতার পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরের এক আদেশে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিকে) বদলি করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এসইউআর