চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে দেশি অস্ত্র-পেট্রোল বোমা উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং পরপর দুইদিন তুচ্ছ ঘটনার জেরে বিবাদে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুইপক্ষ।  এসময় রাম দা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ কর্মীদের।  সংঘর্ষের সময় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় রাম দা নিয়ে মহড়ার দৃশ্য উঠে আসে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ভোরগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দেশিয় অস্ত্র ও কয়েকটি পেট্রোল বোমা।  সম্প্রতি নতুন করে দেশিয় অস্ত্র ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।  যার প্রমাণ মিলেছে গত দুইদিন বিবাদে জড়ানোর পর ছাত্রলীগের দুইপক্ষের কর্মীদের অস্ত্রের মহড়ায়।
এদিকে গত তিনদিনে দুইবার সংঘর্ষে জড়িয়ে এবং আবাসিক হলের এক বাবুর্চিকে মারধরের ঘটনায় ফের আলোচনায় এসেছে চবি শাখা ছাত্রলীগ।  ইটপাটকেল, কাচের বোতল ছোঁড়াছুঁড়ি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে গত দুইদিনের সংঘর্ষে।  এছাড়া দুইদিনে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোনো পক্ষই বিষয়টি স্বীকার করেনি।  বিবাদে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো- বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয় ও সিএফসি।
বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ী শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।  কারণ, তার অনুসারীরা আমাদের কর্মীদের বিভিন্নভাবে উস্কে দিচ্ছে।  এটা রেজাউল হক রুবেলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়ার পাঁয়তারা।  আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে হবে।  অন্যথায় আমরা যা করার তা-ই করবো।
এ বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নেপথ্যে কি রয়েছে, সেটাও আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।  তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত হয়েছে এমন কোনও অভিযোগ করেনি।  যেহেতু আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, তাই আমাদের পুরো বিষয়টা সমাধান করতে আরেকটু সময় লাগতে পারে।  তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
প্রক্টর বলেন, সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা পুলিশের সহায়তায় চবির দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালাই।  এসময় আমরা দুই হল থেকে রাম দা, কিরিচ, গুলতি, কাচের বোতল ও রডসহ বিভিন্ন প্রকার দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। সংবাদসূত্র- বাংলানিউজ

ডিসি/এসআইকে/এমএমআর