দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
এক তলার চোখ আটকে যাওয়ার মতো বাড়ি। আক্ষরিক অর্থে ‘আলিশান’ বাড়ি। গ্রামের মানুষের কাছে ‘স্মাগলার’ বাছিরের বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। তবে জানতো না পুলিশ! মাদকের চালান যখন এ বাড়িতে ঢুকে ও পরে উদ্ধারে সক্ষম হয় তখন হতভম্ব পুলিশের চোখ কপালে।
শেষ পর্যন্ত ঐ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টয়লেটের কমোড থেকে ২ হাজার ২৭৮টি ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় বাছির মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া ও তার সহযোগী মো. সায়েমকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে নয়ামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নয়ামুড়া গ্রামের ঐ বাড়িটিতে অভিযান চালায় আখাউড়া থানা পুলিশ। অভিযানের সময় বাছির মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ছয়টি মাদক মামলার আসামি বাছির মিয়া বর্তমানে জামিনে আছেন। বাবার সূত্র ধরেই ছেলে এখন মাদক ব্যবসায় জড়িত। তবে বাছিরের ছেলে সুমন এই প্রথমবারের মতো পুলিশের হাতে আটক হলো।
ঘটনা সম্পর্কে আখাউড়া থানা পুলিশ জানায়, ইয়াবার একটি বড় চালান ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে বলে খবর আসে। মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নয়ামুড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে বিকেলের মধ্যেই ইয়াবার এ চালান ছড়িয়ে পড়বে বিভিন্ন এলাকায়। উদ্ধার অভিযান চালাতে নয়ামুড়ার দিকে ছুটে যায় পুলিশের দু’টি দল।
আখাউড়া থানার এসআই এরশাদ মিয়া ও এএসআই আলমগীর হোসেন এবং এসআই নেয়ামুল হুসাইন দল দু’টির নেতৃত্বে ছিলেন। শুরুতে পুলিশ জানতে পারছিলেন না ঠিক কোন বাড়িতে মাদকের চালান ঢুকবে। এ অবস্থায় নয়ামুড়া গ্রামের চিহ্নিত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি গোপন নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়। বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই যুবককে বাছির মিয়ার বাড়িতে ঢুকতে দেখে পুলিশও ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা বহন করে নিয়ে আসা বাছিরের ছেলে সুমন এগুলো টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয়। এ সময় আটক সুমন ইয়াবা ফেলার কথা স্বীকার করলে পুলিশ উদ্ধার করে। আটক করা হয় সুমনের সহযোগী সায়েমকে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মাদক নির্মুলে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এজন্য চারটি পৃথক টিম গঠন করে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চালানো বাছির মিয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আটককৃতদের রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ