দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দীর্ঘ ২৪ বছর আগে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাবার খুনি গ্রেফতার হলেও এ নিয়ে সোহেল চৌধুরীর সন্তানদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে নায়কের কন্যা লামিয়া চৌধুরী সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কারো নাম ও ঘটনা উল্লেখ না করে তিনি লিখেছেন, ‘ভালো আছি ভালো থেকো/আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’।
ধারণা করা হচ্ছে হয়তো তিনি বাবার উদ্দেশ্যেই এই চিঠি পাঠিয়েছেন। হয়তো এই চিঠি অবেলায় চলে যাওয়া তার মা নায়িকা দিতির জন্যও। তবে প্রয়াত এ নায়ক-নায়িকা দম্পতির ছেলে শাফায়েত চৌধুরী আছেন নিশ্চুপ। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সোনালি যুগের তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। তাদের দুই সন্তান। বড় মেয়ে লামিয়া চৌধুরী। তার ছোট পুত্র শাফায়েত চৌধুরী। মেয়ে ঢাকায় থাকেন। শাফায়েত নেদারল্যান্ডসের রিয়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। সেখানেই করেছেন বিয়ে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ