বিক্রি নিষিদ্ধ হাঙর-শাপলাপাতার শুঁটকি জব্দ কক্সবাজারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কক্সবাজারে অভিযানে নেমেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।  এর অংশ হিসেবে কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশে নতুন ফিশারিঘাট এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ মণ বিক্রি নিষিদ্ধ হাঙর ও শাপলাপাতার শুঁটকি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁও বন ভবনের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এবং কক্সবাজার দক্ষিণ ও উত্তর বন বিভাগের যৌথ অভিযানে বিক্রি নিষিদ্ধ এসব মাছ জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সরোয়ার আলম বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার) আইন ২০১২ এর তফসিলভুক্ত সামুদ্রিক হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ ধরা, বিভিন্ন অংশের শুঁটকি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এরপরও প্রশাসনের অগোচরে কক্সবাজার পৌরসভার বিমানবন্দরের পাশে কিছু ব্যক্তি হাঙর ও শাপলাপাতা মেরে তেল ও শুঁটকি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদারের নেতৃত্ব ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকনের দিকনির্দেশনায় অভিযান চালানো হয়।  এসময় প্রায় পাঁচ মণ বিক্রি নিষিদ্ধ হাঙর, শাপলাপাতা শুঁটকি ও মাছের কাঁচা অংশ জব্দ করা হয়।  পরে কেরোসিন ঢেলে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার বলেন, এসব বিক্রি নিষিদ্ধ হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ পরবর্তীতে আর না ধরার শর্তে প্রথমবারের মতো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  পরে আবার যদি পাওয়া যায় তবে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকন বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে আমরা সবাই হতবাক।  যেভাবে সামুদ্রিক ভারসাম্য রক্ষাকারী জীববৈচিত্র্যগুলো হত্যার পর ধ্বংস করা হচ্ছে, তা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।  কিছু মানুষ লাভবান হলেও প্রকৃতি ক্ষতির মুখে পড়ছে।  প্রকৃতির অমূল্য এসব সম্পদ রক্ষা সম্ভব না হলে সুনীল অর্থনীতির সমূহ সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ