সিএমপির ব্যাপক তৎপরতা চট্টগ্রাম নগরে

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান আসলে বাড়ে চুরি-ছিনতাই।  বিশেষ করে ঈদ মার্কেটকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা।  তাই এবার বিষয়টি মাথায় রেখে তৎপরতা বাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
ফলে ব্যাংককেন্দ্রিক এলাকায় ঘটেনি ছিনতাইয়ের ঘটনা।  তবে অন্যান্য এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৮৬ জন।  উদ্ধার করা হয় অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
পুলিশের এ ইউনিটের তথ্যমতে, নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ব্যাংকের সংখ্যা ৮৮টি।  অন্যান্য বছরের রমজানের সময়গুলোতে এ এলাকায় ব্যাংককেন্দ্রিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এবারের রমজানে ঘটেনি তেমন কোনো ঘটনা।
গত ৩০ দিনে নগরীর চারটি জোনের ১৬টি থানা ও ডিবি পুলিশের চারটি জোনে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধরা পড়েছে ১০০ জন।  এছাড়া পেশাদার চোর ৮২ জন, ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় ১০৪ জন ও গভীর রাতে সন্দেহজনক ঘোরাফেরার কারণে মহানগর অধ্যাদেশে ১৬১ জনকে আটক করা হয়।
১০০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ধরা পড়েছে উত্তর জোনের বায়েজিদ বোস্তামী থানায়।  এ থানায় ১২ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়।  এছাড়া ডিবি পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণ দুই জোনে ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয় ২৯ জন।
চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতি মিলিয়ে গত এক মাসে নগর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ২৮৬ জন।  তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৭টি ছুরিসহ ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত নানা দেশীয় অস্ত্র, দুটি পাইপগান ও ছয় রাউন্ড কাতুর্জ।  এছাড়া ইয়াবা, গাঁজা ও ছোলাই মদ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৭১ জন।  তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭৯ হাজার ৬৬৬টি ইয়াবা, ৫৩ কেজি গাঁজা, ৭১ লিটার ছোলাই মদ ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল।
নগর পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) আবদুল ওয়ারিশ বলেন, রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চুরি-ছিনতাই রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।  রমজানের শুরু থেকেই তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ও চোরদের নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।  ছিনতাই ও ডাকাতির বেশকিছু অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।  সিএমপির অ্যাপস ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ এর কারণে অটোরিকশাকেন্দ্রিক কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্টের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে টহলে ছিল মোবাইল টিম।  রমজানে চুরি-ছিনতাই রোধের পাশপাশি আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি মাঠে সার্বিক কার্যক্রম তদারকিতে ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর