চন্দনাইশে স্ত্রীকে খুন, বাবাকে আসামি করে মেয়ের মামলা

দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্বামীর ছুরিকাঘাতে রাজিয়া বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।  শনিবার (৭ মে) দিনগত রাত ১০ টার দিকে চন্দনাইশ থানাধীন পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রাজিয়া ওই এলাকার আবদুস সাত্তারের স্ত্রী।  এই ঘটনায় বাবাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মেয়ে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির তদারককারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রাজিয়া বেগমকে রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  নিহত নারীর মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মা রাজিয়া বেগমকে (৬০) হত্যার অভিযোগে বাবা আবদুস সাত্তারের (৭০) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন মেয়ে কামরুন নাহার রুনা।  রবিবার (৮ মে) বিকেলে চন্দনাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।  রাজিয়া বেগম ও আবদুস সাত্তার দম্পতির ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজিয়া ও সাত্তারের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।  এর জেরে শনিবার (৭ মে ) রাত ৮ টার দিকে রাজিয়াকে পিঠে ও হাতে ছুরিকাঘাত করেন স্বামী আবদুস সাত্তার।  পরে তার কান্নাকাটিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। গুরুতর জখম হওয়া রাজিয়াকে উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।  সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত পৌনে ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বয়স্ক।  দুজনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো।  শনিবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী ছুরি দিয়ে আঘাত করে রাজিয়া বেগমকে।  পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি আরো জানান, মা রাজিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগে পিতা আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে মেয়ে কামরুন নাহার রুনা বাদী হয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  হত্যার পর থেকে আব্দুস সাত্তার পলাতক।  তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ