কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে ওসির তল্লাশি তদন্তের আবেদন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় ফেনী জেলা কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কক্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তার তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় তদন্ত চেয়ে এবং কারাগারে থাকা বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদেশের জন্য সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় জেল কোডের বিধান অমান্য করে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশি চালান বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে এনে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার পর বিবাদীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন।  ওই ছয়জনের প্ররোচনায় এবং নির্দেশে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জেল কোডের বিধান তোয়াক্কা না করে ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘসময় তল্লাশির নামে তার জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেন।  কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসি ক্যামেরায় যাচাই করলেই নিশ্চিত হওযা যাবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জেলা কোড অনুসারে থানার কোনো কর্মকর্তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া কারাগারে প্রবেশ করতে পারেন না বলে আবেদনের উল্লেখ করেন তার আইনজীবী।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলার আবেদন করার পর বাবুল আক্তারকে মানসিক চাপে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিবাদীরা।  আদালত এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো লিখিত অনুমতি ব্যতিরেখে কারাগারের অভ্যন্তরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রবেশ করে একজন হাজতির কক্ষে তল্লাশি চালানো বিস্ময়কর।  পুরো বিষয়টিতে ফেনী জেলা কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনা সম্পর্কে জানা সহজ।  আদালতের অনুমতি ব্যতিরেখে একজন হাজতির কক্ষে প্রবেশ করা জেল কোড অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  আমরা আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছি।  এখন আদেশ দেননি।  আদেশের অপেক্ষায় রয়েছি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ