মনের বাসনা পূরণে বিবাহিত রনির এ কেমন বর্বরতা?

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
রনির কোচিং সেন্টারে পড়তেন অদিতি। সে সুবাদে ছাত্রীর বাসায় প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন রনি।  কিছুদিন আগে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন মেয়েটি।  পড়তে শুরু করেন প্রাইভেট। বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারেননি সাবেক এ কোচিং শিক্ষক।  এর জের ধরেই অদিতিকে ধর্ষণের পর গলা কেটে দেন রনি।  কাটেন দুই হাতের রগও।  তবে রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে ছিল অদিতির নখের আঁচড়।
আটকের পর অদিতি হত্যাকাণ্ডের এমনই বর্ণনা দিয়েছেন কোচিং শিক্ষক আব্দুর রহিম রনি।  তিনি নোয়াখালী পৌর শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।
এ নিয়ে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।  এ ঘটনায় রনি ছাড়া আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে।  তারা হলেন- লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার ১৪ বছর বয়সী ইসরাফিল ও তার ভাই ২০ বছরের সাঈদ।
নিহত ১৪ বছর বয়সী তাসমিয়া হোসেন অদিতি লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার রিয়াজ হোসেনের মেয়ে ও নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।  তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
পুলিশ সুপার জানান, স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০ বছরের রনিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।  পরে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।  তিনি আরো জানান, রনি বিবাহিত।  তার একটি কোচিং সেন্টার রয়েছে।  সেখানেই পড়তো ওই ছাত্রী। কিছুদিন আগে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট পড়তে শুরু করেন মেয়েটি।  এতে রনি ক্ষিপ্ত হলেও মাঝেমধ্যে ছাত্রীর বাসায় আসতেন।  বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘরে ছিলেন না ছাত্রীর মা।  এ সুযোগে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন রনি।  ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে মেয়েটির গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করেন।  এছাড়া আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন।  কিন্তু কোনো মূল্যবান জিনিস খোয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিদির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  মরদেহটি অর্ধনগ্ন ছিল।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ