তিনি ভুয়া ডাক্তার…, পেলেন ২ বছরের সাজা

রাঙামাটি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
রাঙামাটির লংগদুতে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার মাইনীমূখ বাজারের মাইনীমূখ মেডিক্যাল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব উদ্দিন এই দণ্ড দেন।
অভিযানে আটক ভুয়া চিকিৎসকের নাম মাসুদ রানা (৪৫)। তিনি ডা. মাসুদ করিম নামের এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার ভিজিটিং কার্ড ও প্রেসক্রিপশনে লেখা রয়েছে, গাইনি, সার্জারি ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদ রানা নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বিমানবন্দর সড়কের হাতিখানা নামক এলাকার আব্দুল হান্নানে ছেলে। এই প্রতারক চিকিৎসক গত রবিবার থেকে মাইনীমূখ মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে, তিনি বাঘাইছড়ি এবং লংগদুর করল্যাছড়িতে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে বসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেছেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- লংগদু সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা তাহসিন আহমেদ, লংগদু থানার ওসি ইকবাল উদ্দিন, এসআই শাহাবুর আলম, এসআই আরিফ।
এ বিষয়ে ওসি ইকবাল উদ্দিন জানান, প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আসামিকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
ইউএনও আকিব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর আজ বিকালে অভিযান পরিচালনা করি। তিনি তার স্বপক্ষে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রতারক পরে নিজে স্বীকার করেছেন তিনি এমবিবিএস নন। তিনি ‘ডা. মাসুদ করিম’ নামের একজনের নাম, আইডি নম্বর ও পদবি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, আইডি নম্বরের সূত্র ধরে জানা গেছে, ওই চিকিৎসক ঢাকায় কর্মরত আছেন। এই প্রতারক এর আগেও কয়েকবার এই ধরনের ঘটনার জন্য জেল খেটেছেন। বের হয়ে জায়গা পরিবর্তন করে আবারও একই কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া, হবিগঞ্জ ও পাবনা জেলায় আগেও মামলা হয়েছিল।

ডিসি/এসআইকে/এমএ