পাহাড়তলী পুলিশ বীটের পেছনে মাদকের আখড়া বন্ধে স্কুল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের মাস্টারলেইন সংলগ্ন পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির পিছনেই গড়ে ওঠা বস্তিতে চলছে মাদকের বেচাকেনা ও সেবন। সাথে আছে অসামাাজিক কর্মকাণ্ডও। রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা এসব বস্তির আড়ালে দিনে-রাতে মাদক বিক্রিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলার তথ্যটি জানা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও। তারপরও অদৃশ্য কারণে সেই অপরাধকাণ্ড বন্ধ করা হচ্ছে না।
স্থানীয় উঠতি শিশু-কিশোর-কিশোরীরা এতে সবচাইতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তাদের রক্ষায় এবার তাই নিজেরাই মানববন্ধন করেছে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রেলওয়ের জায়গায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন পাহাড়তলী এলাকার মাস্টারলেইনের অধিবাসীরাও।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে পাহাড়তলী বিভাগীয় কর্মব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে রেলের বিভাগীয় কর্মব্যবস্থাপক ও ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও দেয় শিক্ষার্থীরা
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আকবরশাহ থানা এলাকার পুলিশ বিটস্থ স্ক্র্যাপ কলোনীতে রেলের মালিকানাধীন জায়গা দখল করে বস্তি নির্মাণ করে চলছে মাদক বাণিজ্য ও পতিতা ব্যবসা। এছাড়াও সংলগ্ন এলাকায় রিকশার গ্যারেজে প্রকাশ্যেই চলে চুরি করে আনা রিকশার কেনাবেচা ও মাদক সেবন। বাঁধা দিলে এলাকাবাসীর উপর চলে হামলা। এছাড়াও পুরো বস্তিতে বিভিন্ন স্থান থেকে অপরাধ করে এখানে বসতি গড়ছে দাগী অপরাধীরাও। এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকাটি অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ ও রেলের সম্পত্তি উদ্ধার করে মাস্টার লেইন, পাঞ্জাবী লেইন, সিগনাল কলোনিতে বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্ব কর্মব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, ‘আমরা একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল। বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও এটি করা সম্ভব হয়নি। এবার দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দেওয়া হবে’।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর