রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিককে অপহরণ, জিম্মি ও মারধরকারীদের গ্রেফতারে সিইউজের আল্টিমেটাম

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’-এর সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান আসামি ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনসহ জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন– চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দীন ইলিয়াস।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন– চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলিউর রহমান, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আইয়ুব আলী, নির্বাহী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মহসীন চৌধুরী, সাবেক অর্থ সম্পাদক তাপস বড়ুয়া রুমু, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশ, সিইউজের সদস্য কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সহিদুল ইসলাম সহিদ, আল রাহমান, সুবল বড়ুয়া, রাহল কান্তি দাশ, ওমর ফারুক, হুমায়ুন মাসুদ, অনুপম শীল, চম্পক চক্রবর্তী, কাঁকন দাশ, নয়ন চক্রবর্তী, ইফতেখার মারুফ, ইকবাল হোসেন, সনজীব দে বাবু, মিজানুর রহমান ইউসুফ, নুর মোহাম্মদ রুবেল, সুজন আচার্য্য, কমল দাশ, বাচ্চু বড়ুয়া, এমএ হান্নান কাজল, এমরাউল কায়েস মিঠু।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার ছবি তোলায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করে। অস্ত্রের মুখে মোহন ওই সাংবাদিককে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়েও কয়েক দফা পেটায়। এরপর তার কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে এবং মানিব্যাগ ও আইডি কার্ডসহ সব কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে মোহন মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে কথাও বলে। এরপর ওই সাংবাদিকের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলে হুমকিও দেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন, চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, ইটভাটার ম্যানেজার কামরান, মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর