কাউখালীর ইটভাটা থেকে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করলো পুলিশ

রাঙামাটি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
অপহরণের ৫ দিন পর রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার খাজা গরীব নেওয়াজ ইটভাটা থেকে অপহরণকৃত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানায় পুলিশ।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কাপ্তাই সার্কেল) রওশন আরা, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবনিয়া এলাকায় ইটভাটা থেকে তিনজনকে অপহরণ করে পাহাড়ের অস্ত্রধারীরা। পরে ইটভাটা মালিকের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তাদের উদ্ধারের জন্য মাঠে কাজ শুরু করে। অপহরণকারীদের দাবি করা ৩০ লাখের মধ্যে ৫ লাখ টাকা দেয়ার টোপ দেয়া হয়। সেই টাকা নিতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিচুবাগানে আসে অপহরণকাজে সরাসরি জড়িত দুইজন। তারা হলেন- খাগড়াছড়ির বাসিন্দা ক্যমং মারমা (২২) এবং বান্দরবানের বাসিন্দা উক্যওয়াই মারমা (২০)। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উদ্ধারকৃতরা হলেন মো. জিয়াউর রহমান (২৮), আহসান উল্লাহ (৪৫) ও মো মোসলেম উদ্দিন (৪২)।
উদ্ধারকৃত মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমরা রাত ১ টার দিকে খেয়ে শুতে যাব এ সময় কয়েকজন মুখবাঁধা লোক এসে আমাদেরকে ডাকে। তাদের সঙ্গে যেতে হবে বলে আমাদেরকে বের করে মারতে মারতে নিয়ে যায়। পাহাড় পেরিয়ে কোথায় যে নিয়ে যায় আমরা নিজেরাও তা চিনি না। আমাদেরকে খুব মারধর করেছে, খেতে দেয়নি ঠিকমতো।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই অপহরণকারীকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। অপহরণকারীরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদেরকে ফেলে পালিয়ে যায়, পরে আমরা তাদেরকে উদ্ধার করি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর আইসিটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহরণকৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

ডিসি/এসআইকে/এমএ