রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাওয়া গ্রেনেডটি মিয়ানমারে তৈরি

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটি সেনাবাহিনীর উচ্চতর বোম্ব ডিসপোজাল বিশেষজ্ঞ দলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেনেডটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনা টিম। তবে আদালতের নির্দেশ না পাওয়ায় গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, গ্রেনেডটি দেখতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ হামলায় ব্যবহৃত পাকিস্তানে তৈরি ‘আর্জেস গ্রেনেড’র মতো হলেও বিশেষজ্ঞ দলের মতে এটি মিয়ানমারের তৈরি। গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ হলে ব্যাপক প্রাণহানি হতো বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
এর আগে শুক্রবার সকালে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর ব্লক বি/৩৯ তে মোহাম্মদ নবীর বাসায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ঘরের বাসিন্দা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নবী আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন ভূঁয়া বলেন, শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর গ্রেনেডটি উদ্ধার করে। তবে আদালতের নির্দেশ পেলে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেনডটি আসলে আহত নবীর ওপর ছোড়া হয়েছে নাকি তিনি নিজে এটি এনে বাড়িতে রেখেছেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। হামলাকারীরা কথিত আরসার সদস্য আর নবী হোসেন সেই গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কথিত আরসা সদস্যদের ১০-১২ জনের একটি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর বি/৩৯ এলাকায় প্রবেশ করে ৫-৭ রাউন্ড গুলি করে। এতে রোহিঙ্গা মোহম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। আহত নবীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার ঘরে গ্রেনেড সাদৃশ বস্তুটি পাওয়া যায়। পরে এলাকাটি ঘিরে রেখে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়। এরপরই বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। একদিন পর সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে তা নিয়ে যায়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ