ক্ষোভ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক আশিককে হত্যা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক আশিকুল ইসলামকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন গ্রেফতার রায়হান মিয়া ওরফে সোহান। ক্ষোভ থেকে আশিককে হত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আরেফিন আহমেদ হ্যাপীর কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রায়হান।
এদিকে একই আদালতে রায়হানের সহযোগী সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রায়হানের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ দিন আগে পৌর শহরের কাউতুলীতে একটি হাসপাতালে এক রোগীকে রক্ত দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যদের ফোন দেওয়া হয়। তাদের ফোনে বাতিঘরের সদস্যরা রক্তদাতা সংগ্রহ করে সেই হাসপাতালে যান। এ সময় সেই রক্তদাতার এক কথাকে কেন্দ্র করে বাতিঘরের সদস্য আব্দুর রহমানের বাদানুবাদ হয়। আব্দুর রহমান বাতিঘরের অন্য সদস্যদের কল দিলে আশিকুল ইসলাম আশিক ওই হাসপাতালে যান। বাতিঘরের আরেক সদস্যের সঙ্গে রায়হানও সেই হাসপাতালে যান। তবে একটি কথাকে কেন্দ্র করে আশিকের সঙ্গে রায়হানের বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি হয়।
বিষয়টি জেনে বাতিঘরের সভাপতি আজহারউদ্দিন দুজনকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। কিন্তু হাতাহাতির সেই ক্ষোভ মনে পুষে রেখেছিলেন রায়হান। সোমবার অবকাশ পার্কে মাসিক মিটিং ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের। সেই খবর রায়হান তার সহযোগী জুনায়েদের মাধ্যমে নিশ্চিত হন। আশিক সভা শেষে রিকশায় ফিরছিলেন। পথে রায়হানের ছুরিকাঘাতে মারা যান আশিক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, আশিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান ও তার সহযোগী জুনায়েদকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে রায়হান মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, রায়হানের সহযোগী জুনায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছি। মঞ্জুর হলে তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিহত আশিকুল ইসলাম আশিক রাজধানী থেকে প্রকাশিত দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর নামে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ দাফন ও রক্তদানকারী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ