নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দীর্ঘদিন ধরে টিম্বার কোম্পানির নামে কনটেইনার ডিপোর কার্যক্রম চলে আসছিল হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে। এছাড়া অপর্যাপ্ত কনটেইনার, খোলা ড্রামে ডিজেল, ফায়ার সেফটি প্ল্যান না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর ধরে এই ডিপো পরিচালনা করা হলেও এতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান নেই। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে ১ হাজার ৫০০টি কনটেইনার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩৫টি। যার বেশিরভাগই অকেজো। ডিপোতে ১০০ জন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও ফায়ারের প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র ৪ জনের। আবার তাদের কেউই ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করতে জানেন না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানী লিমিটেড এ ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের নামের সঙ্গে ব্যবসার ধরনের কোনো মিল নেই। টিম্বার কোম্পানি হিসেবে লাইসেন্স থাকলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় এটি একটি কনটেইনার ডিপো। ফায়ারের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২১ সালের ২১ জুন শেষ হয়েছে। পরে আবেদন করলেও পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এবং সেফটি প্ল্যান না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের নবায়ন স্থগিত রাখে।
রবিবার অভিযানে গিয়ে ডিপোতে খালি কনটেইনারের মধ্যে অবৈধভাবে প্রায় ২০০ ড্রাম ডিজেল মজুত অবস্থায় পাওয়া যায়। ড্রামগুলোর বেশ কয়েকটির মুখ খোলা এবং পাশেই প্রচুর সিগারেটের ছাই ও অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়। ডিপোতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই।
তিনি বলেন, ২০ একরের এই ডিপোতে নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ কনটেইনার থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৩৫টি। এসব অনিয়মের অভিযোগে ডিপোর এজিএম মো. এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী এক মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/আরএআর