বাঁশখালীর ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত নতুন মামলায় কারাগারে

দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পরিবহনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নতুন মামলায় বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে তারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে আলোচিত হস গণ্ডামারার ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) কামরুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ‘গণ্ডামারার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে ড্রেজিং করার জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করে লেয়াকতের অনুসারীরা কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। এছাড়া বুধবার ঠিকাদারের লোকজন মালামাল নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাড়িতে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের উপরও ইট নিক্ষেপ করে লেয়াকতের অনুসারীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে’।
এ ঘটনায় ঠিকাদার ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয় বলে জানান এএসপি কামরুল। তিনি বলেন, ‘দুই মামলায় লেয়াকতকে আসামি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লেয়াকতকে গ্রেফতার করে’।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই গণ্ডমারা ইউনিয়ন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১৬ সালের এপ্রিলে এস আলম গ্রুপের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা নিয়ে সংঘর্ষে চারজন নিহত হলে আলোচনায় আসেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি নেতা লেয়াকত। আন্দোলনের পর তিনি পুনরায় গণ্ডামারা ইউপির চেয়ারম্যান হন।
২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের অফিসের সামনে মতবিনিময় সভা চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হলে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর হয়। পরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২৭ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
লেয়াকতের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ