চবির আন্দোলনে হামলা ও সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ঘটনার দিন কয়েকজন সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরীর সই করা এক অফিস আদেশে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তিন সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেলকে সদস্য হিসেবে, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথকে রাখা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. মোহাম্মদ আহসানুল কবীরকে।
গঠিত কমিটিকে আলাদা দুই ঘটনার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) ও বিএম (বাংলার মুখ) এর কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আকতার, আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠুসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন।
আন্দোলনের বাঁধা দেয়ার ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা মারজান আক্তারের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হামলার ঘটনায় ওইদিন দুপুরে প্রক্টর বরারব লিখিত অভিযোগ করেছেন চারুকলার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় একই দিনে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস)।
সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ভিক্স গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক ফাহাদ, একই সেশনের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শহীদুর রহমান স্বপন, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানসহ আরও ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী।

ডিসি/এসআইকে/এসপি