গ্যস সংকটে বাড়তি দাম নেয়ায় ১১ সিলিন্ডার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
গ্যাস সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করায় ১১ দোকানিকে প্রায় লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
রবিবার (১৪ মে) রাতে এবং আজ সোমবার (১৫ মে) দিনের বিভিন্ন সময়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
জানা যায়, চলতি মাসে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের সরকার নির্ধারিত দাম ১ হাজার ১৭৬ টাকা। যা সিলিন্ডার সহ ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। কিন্তু গ্যাস সংকটের সুযোগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দোকানিরা সিলিন্ডার সহ এলপিজি গ্যাস বিক্রি করছেন ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।
অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর ষোলশহর এলাকার তাহের স্টোরকে ২০ হাজার ও সোহেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসন। একই অভিযানে নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার কিচেন ট্রেডার্সকে ১০ হাজার এবং আরো তিন দোকান মালিককে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গ্যাস সংকটের সুযোগে গ্যাস সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা এবং নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ইনডাকশন চুলাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির অপরাধে ৫ দোকানীকে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ মে) বেলা ১১ টার দিকে নগরের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে একটি টিম।
অভিযানে নগরের লাভ লেনের হাবিব ট্রেডার্সে অনিয়ম পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা, এনায়েত বাজার মোড়ে যেএস ট্রেডিংকে ২০ হাজার টাকা এবং আরিফ ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে নগরের গোলাম রসুল মার্কেটে ইনডাকশন চুলা ও রাইস কুকারের দাম বেশী রাখায় দুই দোকানের মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গ্যাস সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মূল্যে রাইস কুকার, ইনডাকশন চুলা ও ইনফ্রারেড চুলা বিক্রি করছে। অভিযোগ পেয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১১ দোকানীকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে সকলকে সর্তক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর