বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো শিশুকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয় : হাইকোর্ট

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো ৫ বছরের শিশু অগ্ররাজ সিকদারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ‍রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, এস আলম পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ‍তুষার রায়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে শিশুর মা বাঁশখালীর বাসিন্দা পূর্ণিমা দে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসের চাপায় পা হারানো সাড়ে পাঁচ বছরের সন্তানের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাসচাপায় তার ছেলের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে। ছেলের চিকিৎসায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তারা আর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল অগ্ররাজ সিকদার। চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসটি একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার পায়ের ওপর উঠে যায়। এই অবস্থায় বাসটি তাকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয় এবং ডান পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
শিশুটির মা আরও বলেন, ‘আমার স্বামী একজন কাঠমিস্ত্রি। আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা নিয়ে ছেলের চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। ক্ষতিপূরণের দাবিতে পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। কিন্তু চিকিৎসার জন্য কোনো সহায়তা বা ক্ষতিপূরণ দেয়নি তারা। ছেলের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের পক্ষে আর চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না’।
পরে ওই ঘটনায় গত ৮ মার্চ বাঁশখালী থানায় মামলার আবেদন করা হলেও পুলিশ ২১ মার্চ মামলা রেকর্ড করে বলে দাবি করেন পূর্ণিমা দে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ