আগে বিচার ব্যবস্থা যেভাবে ছিল, এখন সেভাবে চলছে না : হাইকোর্টের মন্তব্য

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ থাকার পরও যখন গ্রেফতার এবং ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, তখন মৌখিক আদেশ দিয়ে আর কী হবে? আগে বিচার ব্যবস্থা যেভাবে ছিল, এখন সেভাবে চলছে না। আদালতের সেই অবস্থান এখন আর নেই। একটি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানিতে গতকাল রবিবার হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বিএনপিপন্থিদের ভাঙচুরের মামলায় ১৮ আইনজীবীর জামিন আবেদন উপস্থাপনকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আইনজীবীদের গ্রেফতার ঠেকাতে মৌখিক আদেশের অনুরোধ করা হয়েছিল এ বেঞ্চে। পরে আদালত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের জামিন আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ঠিক করেন। এ সময় বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, তাহলে কাল (সোমবার (৭ আগস্ট)) পর্যন্ত পুলিশ যাতে গ্রেফতার না করে সেই নির্দেশ দিন। জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা তো সব সময় আপনাদের কাছেই আসি। আপনাদের যদি একটা আদেশ থাকে, যাতে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে। প্রয়োজনে একটা মৌখিক আদেশ দেন’।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানি না। কিন্তু সারাদেশের মানুষ এগুলো ভালোভাবে নেয়নি। এ সময় জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজা প্রদানের রায়ের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমিতির সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল্লাহ। এ মামলায় আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ