দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার চিন্তা-ভাবনা আছে হয়তো : পররাষ্ট্র সচিব

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ সফররত মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নিষেধাজ্ঞা একটি অস্ত্র এবং এটি চিন্তাভাবনা আমেরিকার আছে হয়তো’। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ’র সঙ্গে ঢাকায় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব।
নতুন করে ১১ জন বাংলাদেশির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশ হয়েছে- এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘রিচার্ড নেফিউ একসময় নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক অফিসার ছিলেন। তিনি কোনো ব্যক্তির বিষয়ে বলেননি। কিন্তু বলেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নিষেধাজ্ঞা একটি অস্ত্র এবং এটি চিন্তাভাবনা আছে হয়তো’।
বিনিয়োগ বা বড় ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য ওইসিডির ব্লু ডট ব্যবহারের বিষয়ে রিচার্ড নেফিউ আলোচনা করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ‘তারা বলার চেষ্টা করেছে, বিনিয়োগ বা বড় ধরনের অবকাঠামো প্রকল্প যখন গ্রহণ করা হবে, তখন ওইসিডির একটি ব্লু ডট প্রকল্প আছে, যেখানে হাতে নেওয়া প্রকল্পের বিভিন্ন দিকগুলো বিবেচনা করে অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, আগামিতে হয়তো এ ধরনের একটি পরিস্থিতি আসবে এবং আমাদেরও সেরকম প্রস্তুতি থাকা উচিত’।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বর্তমানে সব মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। সেগুলো সমাজের সবার কাছে, যেমন- যারা কন্ট্রাক্টর আছে, বা যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে এটি চর্চা করতে হবে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।
ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ইউএন কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশনের ২০ বছরপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘তাদের আশা হচ্ছে, বাংলাদেশ সেখানে অংশগ্রহণ করবে। সেখানে অনেক সেমিনার হবে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন এজেন্সি, যারা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে সবার কাছে একটি অঙ্গীকার নতুন করে চাইবে তারা- যাতে আন্তর্জাতিকভাবে বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে দুর্নীতি কমানো যায় বা কীভাবে দমন করা যায়। তবে আমি তাদের বলেছি, অনেক ক্ষেত্রে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের যে বিষয়গুলো আছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে, সেগুলোতে আমরা সবসময় সমান সাড়া পাই না। কিছু দিন আগে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে কথা উঠেছিল। আমি সুইসদের কাছে যে ধরনের তথ্য চেয়েছিলাম, তারা সেটি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ