৮ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ নিয়ে ধরা বিমান কর্মকর্তা দিতে পারেননি সদুত্তর

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ থেকে কৌশলে স্বর্ণের বার নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে এয়ারক্রাফটের মেকানিক শফিকুল ইসলামকে (৩৩) আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই স্বর্ণের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অফিসে সোমবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের হ্যাংগার গেটের সামনে থেকে রবিবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮ টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। যার ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা’।
আটক হওয়া এয়ারক্রাফট মেকানিকের বাড়ি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানায়। বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি ৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাত ৯ টায় হ্যাংগারে নিয়ে পার্ক করে রাখা হয়। বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন।
জিয়াউল হক বলেন, বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। তার চলাচলের ধরন এবং মুভমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন সে নেমে আসে এবং দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাংগারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাঁর কাছে উল্লেখিত ৬৮ টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। এ সকল গোল্ডের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউল হক শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই গোল্ড সংগ্রহ করেন বলে জানান। কিন্তু এই গোল্ডের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্য্যেহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
এ ঘটনায় আটক হওয়া এয়ারক্রাফট মেকানিকের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ