দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
পুলিশের জন্য ২০ লাখ রাবার বুলেট কেনা হচ্ছে। এগুলো কেনা হবে তুরস্ক থেকে। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চলতি মাসের শেষ দিকে বা সম্ভাব্য কাছাকাছি সময়ে বুলেট কারখানা পরিদর্শনে ওই দেশে যাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, এই ২০ লাখ রাবার বুলেট (কার্তুজ) কেনা হবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জন্য। এত বিপুলসংখ্যক রাবার বুলেট কেনার উদ্যোগ এবারই প্রথম। গত আগস্টে তুরস্ক থেকে পুলিশের খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জের জন্য ১০ হাজার রাবার বুলেট কেনা হয়েছে। পুলিশের ১২ বোরের শটগানে এই রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। বড় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে।
২০ লাখ রাবার বুলেট কেনার উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) এনামুল হক সাগর গত বুধবার বলেন, এটা পুলিশের নিয়মিত কেনাকাটার অংশ। যখন যেমন চাহিদা থাকে সে অনুযায়ী কেনাকাটা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, গত ২৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সরকারি আদেশে মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তার তুরস্কে রাবার বুলেট তৈরির কারখানা পরিদর্শনের বিষয়টি অনুমোদন করার কথা জানানো হয়। ওই তিনজন হলেন জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার ও পুলিশ সুপার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী। ওই আদেশে ২০ লাখ কার্তুজের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, ওই তিন কর্মকর্তা ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা সম্ভাব্য কাছাকাছি সময়ে এই সফর করবেন। এই সফরের সব খরচ বহন করবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এই সফরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জন্য ২০ লাখ রাবার বুলেট কেনা হচ্ছে। তবে পুলিশ যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট না ছুড়ে অন্যান্য কৌশলকে প্রাধান্য দেয়।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ