খুলশীতে কিশোর গ্যাং সদস্যের ছুরিকাঘাতে খুন আরেক সদস্য

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরে সমবয়সী বন্ধুর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক তরুণ খুন হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানার পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সেগুনবাগান ক্যান্টিনগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার না দেখালেও ৩ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রুপটি এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে। ছিনতাইসহ নানান অপরাধে গ্রুপটি বেশ সক্রিয়। তারা মূলত একই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত আব্দুর রহমান সুজন (২০) নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকার মো. রিপন সওদাগরের ছেলে। তার চাচা স্থানীয় ঝাউতলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল স্বপন। তিনিও কাউন্সিলর ওয়াসিমের অনুসারি হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় উঠতি বয়সের কিশোর-যুবকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এদের মধ্যে একটি অংশ উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা, প্রভাব বিস্তার এবং গ্রুপিং এর জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে জানান তারা।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো বিরোধে হত্যাকাণ্ড হয়নি। এলাকায় দুই দল ছেলের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। নিজেরাই ঝগড়া করে মারামারি করেছে’।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নিহত তরুণকে যে ছুরিকাঘাত করেছে সে তার পূর্বপরিচিত ও সমবয়সী বন্ধু। তাদের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি’।
খুলশী থানার ওসি রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আহত সুজনকে সোহান নামে তাঁর এক বন্ধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। সোহানকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে’।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর