পাহাড়তলীতে স্ত্রীকে হত্যা করা স্বামী ৯ বছর পর র‌্যাবের হাতে ধরা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে স্ত্রীকে হত্যা করে প্লাস্টিকের ড্রামে মরদেহ গুম করে রাখে স্বামী আবুল হোসেন (৪৫)। এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৯ বছর পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।
গ্রেফতার আবুল হোসেন প্রকাশ লিটন (৪৫), ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকার মৃত হাফেজ আহম্মদের ছেলে।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, হত্যা মামলার দায়েরের পর থেকে প্রায় ৯ বছর স্বামী আবুল হোসেন পলাতক ছিলেন।
আসামি আবুল হোসেন লিটন গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ছদ্মনাম নিয়ে ফেনীর সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, লিটনের দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে হত্যা করে পানি রাখার প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতরে গুম করে রেখেছিলো যেন কেউ জানতে না পারে। হত্যার পর থেকে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী নাসিমা বেগম (২৬) বাগেরহাট জেলার সদর থানার মৌজারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সালে তার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার কামরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এর ২ থেকে ৩ মাস পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তার কন্যা সন্তানকে নানার বাড়িতে রেখে চট্টগ্রাম নগরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। এ সময় তার সঙ্গে আবুল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ২০১৩ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েকদিন পর ভুক্তভোগী জানতে পারেন তার স্বামী আবুল হোসেনের আরও এক স্ত্রী এবং ৭ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে ২ এপ্রিল নগরের পাহাড়তলীর ৫ রোডের একটি বাড়ির ৬ষ্ঠ তালার ভাড়া বাসার একটি ড্রাম থেকে ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর