পিরোজপুরে হত্যা করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে আত্মগোপন, অবশেষে ধরা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানার হাজীক্যাম্প এলাকা থেকে পিরোজপুরে বন্ধুকে হত্যা করে পালিয়ে আসা এক যুবকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলো পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) থানার সেহাংগল নেছারাবাদ এলাকার মুকবুল হোসেন মেম্বার বাড়ির মৃত শেখ মকবুল হোসেনের ছেলে মো. রুম্মান শেখ (৩০) ও ও মাসুম বিল্লাহ (৩৩)।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন জানান, রুম্মান পিরোজপুরে তার এক বন্ধুকে হত্যা করে প্রথমে ঢাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার আরেক বন্ধু মাসুম বিল্লাহর কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। পেশায় কাভার্ড ভ্যানচালক মাসুম বন্ধু রুম্মানকে লুকিয়ে রাখার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাহাড়তলীর হাজী ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করে রুম্মান ও মাসুম। তথন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় পিরোজপুরে মোবাইল চুরি করে তারা চট্টগ্রামে আত্মগোপন করেছে। পরে তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও পিরোজপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানা যায়।
তিনি আরও জানান, নিহত অপু ও গ্রেফতার রুম্মান শেখ ব্যবসায়ীক বন্ধু ছিল। তারা যৌথভাবে সুপারি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়ীক বন্ধুত্বের কারণে তাদের দুইজনের মধ্যেই বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। রুম্মানের বোনের সঙ্গে অপুর পরকীয়া সম্পর্ক এবং ব্যবসার জন্য আর্থিক লেনদেন ছিল। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা মানতে পারেনি। রুম্মানের পরিবারের সদস্যরা মিলে অপুকে খুন করা পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর বাড়ির পেছনে খড়ের গাঁধার মধ্যে গর্ত করে রেখেছিল। ৪ অক্টোবর পরিকল্পনা করে রুম্মান তার বাড়িতে অপুকে নিয়ে আসেন। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর মা, বোনসহ কয়েকজন মিলে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় অপুকে। পরে মরদেহটি ওই গর্তে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শেহাংগল গ্রামের রুম্মান শেখের বাড়ির পাশে খড়ের গাদা থেকে হাসানুর রহমান অপুর (৩৫) মরদেহ পাওয়া যায়। অপু গত ৪ অক্টোবর রুম্মানের সঙ্গে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে ৫ অক্টোবর তার স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর