দুই সহযোগীসহ আরসার গোয়েন্দা প্রধান গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ইন্টেলিজেন্স সেলের প্রধান ওসমান গনিকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪ ও ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাব ১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
ওসমান গনির সহযোগীরা হলেন আরসার স্লিপার সেল ও ওলামা বডির প্রধান মৌলভি হামিদ হোসেন প্রকাশ ডাক্তার হামিদ এবং প্রধান অর্থ সমন্বয়ক আবু তৈয়ব প্রকাশ সোনা মিয়া সোনালী।
র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ৪ নম্বর এক্সটেনশন ক্যাম্প থেকে ওসমান গনিকে এবং ১৭ নম্বর ক্যাম্প থেকে মৌলভি হামিদ ও সোনা মিয়াকে ধরা হয়। ইংরেজিতে দক্ষ ওসমান আরসার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ দেখভাল করতেন। ক্যাম্পে পরিচালিত এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য আরসার শীর্ষ নেতাদের সরবরাহ করতেন। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবরাখবর পৌঁছাতেন। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধিও লক্ষ্য রাখতেন তিনি।
মৌলভি হামিদ ২০১৭ সালে পরিবারসহ মিয়ানমারের বুচিডং থেকে এসে বালুখালী ক্যাম্পে বসবাস শুরু করেন। মিয়ানমারে আরসার ওলামা কাউন্সিলের কমান্ডার মৌলভি তোহার মাধ্যমে আরসায় যোগ দেন। গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে তাঁর পরিবারের ব্যাপক প্রভাব ছিল। প্রথমে তিনি ৮ নম্বর ক্যাম্পের প্রধান জিম্মাদার, পরে ওলামা বডির কার্যকরী সদস্য হন। হামিদ নতুন সদস্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাতেন এবং আরসার টাকা সদস্যদের পরিবারে বিতরণ করতেন।
র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আবু তৈয়ব ২০১৬ সালে আরসায় যোগ দেন এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ঢুকে কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন। গত ২ অক্টোবর আরসার প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ গ্রেফতার হলে দায়িত্ব পান তৈয়ব।
এ পর্যন্ত আরসার ৭৩ জন সক্রিয় সদস্য ও শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা। গত সাড়ে আট মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫৬টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৮ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ