ভোটারদের ভয়ভীতি যারা দেখাবে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা : সিএমপি কমিশনার

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ‘আপনারা (ভোটার) নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সক্ষমতার আলোকে বলতে পারি, আপনারা নিরাপদ থাকবেন। যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে বা কেউ ব্যত্যয় ঘটাতে চান–তাঁর বিরুদ্ধে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের নেওয়া ব্যবস্থার কারণে অন্যরা সতর্ক হয়ে যেতে পারে’।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জামালখানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে পুলিশে কমিশনার নগররে বিভিন্ন এলাকার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোতে সংঘাতের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই-নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চান, প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখাতে চান বা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে চান তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের দিন সিএমপির পক্ষ থেকে ৪৫০০ জনের ফোর্স মাঠে থাকবে। মহানগরীতে যেসব অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে সেখানে আমাদের ফোর্সের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি থাকবে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স বিজিবি থাকবে। আনসার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে’।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৬০টি কেন্দ্র রয়েছে, এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে, সেটা আমি বলব না। তবে এসব কেন্দ্রের গুরুত্বের হেরফের আছে। এটা বলতে আমি বোঝাচ্ছি, ভোটারের আধিক্য, নানা ধরনের ভোটার, ভোটারের উপস্থিতি, এক ভেন্যুতে একাধিক কেন্দ্র কিংবা কোনো কোনো কেন্দ্র বিশেষ অবস্থান। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও কেন্দ্রের গুরুত্ব কম-বেশি হয়। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা নগরীতে ৪৬৬টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি’।
কৃষ্ণ পদ রায় আরও বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান। এ ছাড়া নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আগামি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা অস্ত্র ব্যবহার ও বহন করতে পারবে না। যদি করা হয়, সেটা অস্ত্র আইনে ভায়োলেশন হবে, এ ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর