সারা দেশে আরও ২১ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
নাশকতা এড়াতে সারা দেশে আরও ২১ জোড়া ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) ও আগামিকাল রোববার ঢাকা থেকে সারা দেশে ছেড়ে যাওয়া এসব লোকাল, মেইল ও কমিউনিটি ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দিনের জন্য বন্ধ হওয়া সবগুলো ট্রেন লোকাল, মেইল ও কমিউটার। এগুলো আপাতত শুধু শনিবার ও রোববার বন্ধ থাকবে’।
বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো হলো—বলাকা, তুরাগ-১, মহুয়া, কর্ণফুলী, তিতাস-১, রাজশাহী এক্সপ্রেস, তুরাগ-৩, তিতাস-২, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ভাওয়াল, সুরমা মেইল ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউনিটি ও টাঙ্গাইল কমিউনিটি। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের আটটি লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে।
এর আগে রাজধানীর গোপীবাগে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন রুটের আটটি ট্রেন চলাচল দুই দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার শনিবার মধ্যরাতে তাঁর ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত আগামি ৬ ও ৭ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/গাউন), পদ্মরাগ (২১ / ২২), রংপুর সাঁটল (৯৭ / ৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫ /৬) ও বগুড়া কমিউটার (৫ /৬) আগামি ৬ ও ৭ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া চিলমারী কমিউটার ও লোকাল (৪৬২ / ৪৫৫ / ৪৫৬ / ৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে’।
উল্লেখ্য, এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়াতে পাঁচ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, রাত্রিকালীন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা ট্রেনগুলো ছিল—ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঞাপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ী, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন। এসব ট্রেন এখনো চালু হয়নি।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত দুই মাসে রেলপথের ১৩টি স্থানে এবং ছয়টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া তিনটি স্থানে রেললাইন কাটা এবং ফিশপ্লেটের ক্লিপ খুলে নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে নাশকতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঢাকা অঞ্চলে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ