আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
৭ বছর আগে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল আরেফিনের আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন রাখা হয়েছে ১৪ জুন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, জামায়াত নেতা সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইলাম ও শাজাহান চৌধুরী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা রাজনৈতিক মামলা। আমরা আদালতে শুনানিতে বলেছি, বিস্ফোরক আইনের মামলায় কে কোন অপরাধ করেছে তা সুনির্দিষ্ট করতে হয়। এই মামলার এজাহারেও তা ছিল না এবং অভিযোগপত্রেও আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি। আসামিদের নির্দোষ দাবি করে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন’।
এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. শাহাদাত হোসেন এবং আবুল হাশেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দ ‍উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিকালে চট্টগ্রামের কাজীর দেউরিতে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ২০ দলীয় জোটের প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে জামায়াত-শিবির নেতাদের বক্তব্যের পর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেসময়ের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বর্ষপূর্তির দিনে ২০ দলীয় জোট ওই সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সেদিন সংঘর্ষ নগরীর কাজীর দেউরী, লাভ লেইনে, এনায়েত বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ দলীয় জোটের কর্মীরা যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরী, এনামুল হকসহ প্রায় তিনশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বিএনপির তৎকালীন মহানগর সভাপতি আমীর খসরুসহ ৫০০ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিস্ফোরক, দণ্ডবিধি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তিনটি অভিযোগপত্রেই ৪৫৩ জনকে আসামি করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এনএনপি