বিএসআরএম কারখানায় গ্রেনেড!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।  পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে।  বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে মিরসরাই উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানা থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার বিকেলে বিএসআরএম কারখানা থেকে থানায় একটি বোমা সদৃশ বস্তু পড়ে থাকার খবর জানানো হয়।  আমরা গিয়ে দেখতে পাই লোহার রড তৈরির কাঁচামালের মধ্যে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু পড়ে আছে।  পরে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে।  মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, সম্প্রতি জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১০ হাজার মেট্রিকটন স্টিল স্ক্র্যাপ তাদের কারখানায় আনা হয়।  এই স্ক্র্যাপের ভেতরে গ্রেনেডটি ছিল বলে তাদের ধারণা।  বিএসআরএমের পক্ষ থেকে স্ক্র্যাপের ভেতরে করে গ্রেনেডটি আসার কথা বলা হলেও আমরা নিশ্চিত নই।  চট্টগ্রাম বন্দরের গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় স্ক্যানিং মেশিনে বিষয়টি অবশ্যই শনাক্ত হওয়ার কথা।  বিএসআরএম কারখানার গেইটেও স্ক্যানার আছে।  সেখানেও শনাক্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।  তবে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।  সাধারণ ডায়েরি মূলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।  সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিজপোজাল ইউনিটের ইনচার্জ পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।
পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া জানান, গ্রেনেডটি বাইরে জং ধরা থাকলেও এটি তাজা গ্রেনেড ছিল। বিএসআরএম কারখানার দক্ষিণে একটি খোলা মাঠে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে