বিবাদের জের : বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৩১ জেলে, উদ্ধার ৩

মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটের ধাক্কায় বৈনজাল বোট ‘শানে মদিনা’ নামের বাঁশখালীর একটি বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় ৩৪ জেলের মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩১ জন।  জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩ জনকে।  রবিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ট্রলারটির উদ্ধার হওয়া তিন জেলেকে নিয়ে চাম্বল বাংলাবাজার ফিশারি ঘাটে ফিরেছে অন্য একটি ট্রলার।
নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের মাঝি মো. ইউসুফ (৫০), আজগর হোসেন(৫৫) ও মো. কবির (২৫)। বাকীদের নাম জানা যায়নি।  আর উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে আছেন সন্ধ্যায় তীরে ফেরা তিন জেলে মো. নুরুন্নবী (৪০), মো. দেলোয়ার (৩০) ও মো. মহিউদ্দিন (২৮)।
স্থানীয় বোট মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ডেপুটি ঘোনা ছগির কোম্পানীর “শানে মদিনা” নামে বোটটি মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যায়।  রবিবার (০৪ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে অন্য একটি বোটের ফিশিং বোটের ধাক্কায় শানে মদিনা নামে বোটটি তৎক্ষণাৎ ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯ টা) ৩১ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাবাজার বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম কাশেম জানান, শনিবার রাতে শানে মদিনা নামক মাছ ধরার ফিশিং বোটটি বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে যায়।  সেখানে তারা একটি স্থানে জাল ফেলে।  সেখানে অন্য একটি বোট যায় ও জাল বসানোর চেষ্টা করে।  এ নিয়ে একে অপরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সজোরে ধাক্কা দিলে শানে মদিনা নামক বোটটি সাথে সাথে ডুবে যায়।  তিনি আরো জানান, শানে মদিনা বোটে ৩৪ জন জেলে ছিল।  ৩ জনকে অন্যন্য বোট এসে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩১ জন।  ধাক্কা মেরে চলে যাওয়া বোটটির সঠিক পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. হাবীবুর রহমান দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, এখনও আমরা সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছি না।  বোটটি ডুবে গেল সকাল ৯ টার দিকে, অথচ আমাদেরকে খবরটা বলা হলো সন্ধ্যা ৭ টার দিকে।  আমরা শুনে বঙ্গোপসাগরের ঘটনাস্থলের লোকেশনে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছি।  এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি