হঠাৎ দমকা হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড চসিকের প্যান্ডেল, রক্ষা পেলেন চসিক মেয়র

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত তীরে প্যান্ডেল করেছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা ও বিশ্রামের জন্য করা প্যান্ডেলে একে একে উপস্থিত হন পূজা পরিষদের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ, চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ।
অনেকটা হঠাৎ করেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। শুরু হলো দমকা হাওয়া। সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়ে গেল চসিকের সেই ত্রিপল, লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল প্যান্ডেল। এ সময় ওই প্যান্ডেলে ছিলেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, জিয়াউল হক সুমনসহ চসিকের কর্মকর্তারা। তারা নিরাপদে বেরিয়ে যান বিধ্বস্ত প্যান্ডেল থেকে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার চিত্র এটি। এ সময় ছুটির দিন ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে পতেঙ্গায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন দোকান, বিপণিবিতান ও গাছতলায় আশ্রয় নেন। কেউ কেউ ভিজে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে চসিকের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। আমরা যখন অনুষ্ঠান শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তখন আকস্মিকভাবে দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টিতে প্যান্ডেল, মঞ্চ ভেঙে পড়ে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা বিসর্জনের কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে।
৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী জানান, প্যান্ডেলটি আমার তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছিলাম। স্থানীয় আনোয়ার ডেকোরেটার্স এটি অত্যন্ত মজবুতভাবে তৈরি করেছিল। দুর্ভাগ্য অনুষ্ঠান শুরুর আগমুহূর্তে প্রচণ্ড গতিতে দমকা হাওয়ায় এটি ভেঙে পড়ে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চ্যঙ্গা বলেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বিকেল সোয়া ৫ টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৪ কিলোমিটার।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর