অর্ধেক কুকুর অর্ধেক মানব!

প্রতীকী ছবি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
উদ্ভট এক দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার জন নামের এক জেলে। তিনি দাবি করেছেন সম্প্রতি তার পিছু নিয়েছিল এক ‘কুকুর মানব’। ওই দৈত্য তাকে ভীতসন্ত্রস্ত করেছে বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, তার কাছে এর ছবিও আছে। এ কারণে তিনি এক মাসের জন্য ভীতিকর অবস্থায় ছিলেন। এই কুকুর-মানবের শরীরের অর্ধেকটা কুকুরের। বাকি অর্ধেকটা মানুষের। দু’বার তার পিছু নিয়েছিল এই দৈত্য।
‘বিলিভ: প্যারানর্মাল অ্যান্ড ইউএফও পোডকাস্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তার ভয় হয়েছিল যে ওই প্রাণিটি তাকে হত্যা করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
গত বছর বক্সিং দিবসে তিনি নিজের কায়াক নামের ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছিলেন। তখনই প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হন। বলেন, আমি কায়াকের প্যাডেলে যখন নতুন করে চাপ দিচ্ছিলাম, দেখতে পাই সেও আমার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আমি থামলাম। তখন জঙ্গলের মধ্যে তার শব্দও থেমে গেল। আমার মনে হয়েছিল এটা উদ্ভট একটা বিষয়। পরক্ষণে আমি আবার প্যাডেল চালাই। আমি যতবারই প্যাডেল চালাই, এই জিনিসটাও আমার সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকে। সব দেখে যা মনে হয়েছে তা হলো এই জিনিসটি আমাকে অনুসরণ করছে।
এ অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে হালকা একটু বিশ্রাম নেন। জন দাবি করেন, তিনি ওই কুকুর মানবকে তার ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি যে প্রাণিটি দেখেছি, তার ছবিও ধারণ করেছি। এ নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর আমি ধরে নিয়েছি যে, এটা একটা কুকুর-মানব। এরপর ভয়ে ওই এলাকায় অনেকদিন যাইনি আমি। এক মাসের মতো এমন ভয়ের ভিতর ছিলাম। রাতে ঘুমের মধ্যে জেগে যেতাম। স্বপ্নেও দেখতাম ওই প্রাণিটিকে।
আবার মাছ ধরতে যান জন। তখনও তিনি একই ঘটনার শিকার হন। বলেন, এবারও তিনি কিছু একটার শব্দ শুনতে পান। সে দৌড়াচ্ছে। দৌড়ে যাওয়ার পথে যেসব গাছ পড়েছে সামনে তাকে ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়েছে সে। সব কিছু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল না। কারণ, জঙ্গলটা ছিল ঘন। এরপরই কুকুর মানব গর্জন করা শুরু করলো। এ দৃশ্য দেখে আমি ১০ মিনিট দৌড়ে নিরাপত্তার জন্য গাড়িতে ফিরে আসি। আমার সারাজীবনে এমন শব্দ কখনো শুনিনি। সে গর্জন করার সময় যে শব্দ হয়, শ্বাস নেয়ার সময় তার চেয়েও বেশি শব্দ হয়। এ অবস্থা দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমার মাথায় একটাই শব্দ ভেসে আসতে থাকে। তা হলো- সরে যাও। না হলে তুমি মরবে।
তিনি আরো বলেন ওই ১০টি মিনিট আমার সারা জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এই দৈত্যটি আমাকে হত্যা করবে। আমার কাছে কোনো অস্ত্র নেই। এমনকি মাছ ধরার ছুরিটি পর্যন্ত নেই আমার কাছে। নেই কোনো ফোন সার্ভিস।
এর ফলে জন বিশ্বাস করেন কুকুর মানবের অস্তিত্ব আছে। সে কাউকে না কাউকে আঘাত করবে বলে তার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এখনও যেন আমি তার শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সেই ভয়কে কাটিয়ে উঠেছি। মাঝে মাঝেই ছবিগুলো বের করে দেখি। আমি আসলে জানি না, আসলেই কি ছিল ওটা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ