এবার চকরিয়ার সাফারি পার্কে হানা ১৩ বন্যহাতির

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
আবারো খাবারের সন্ধানে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে বন্যহাতির একটি দল। তিন মাসের মাথায় ফের ঢুকে পড়া এবারের দলে রয়েছে ছোট-বড় ১৩টি বন্য হাতি।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সীমানা দেওল গুঁড়িয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে হাতির দল। এসব হাতি বর্তমানে পার্কের জীববৈচিত্র্য জোন এলাকায় অবস্থান করছে। অবশ্য পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৎপরতায় তিনটি হাতি বেরিয়ে লামা সীমান্তের গহীন জঙ্গলে চলে যায়। বাকি হাতিগুলো এখনো পার্কে অবস্থান করছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাকি ১০টি হাতি পার্কের বন্যপ্রাণী আবাসস্থল উন্নয়ন এবং চারণভূমি সৃজনের তিনটি প্রকল্পের ২০০ হেক্টর এলাকায় সৃজিত ফলদ ও বনজ বাগানে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেখানে খাবার ও নিরাপদ আবাস খুঁজে পাওয়ায় কোনোভাবেই বন্যহাতিগুলোকে সরানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পার্কের জীববৈচিত্র্য জোন এলাকায় কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। যাতে হাতিগুলো পার্কের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বেষ্টনী ও পর্যটক-দর্শনার্থীদের ঘুরে-বেড়ানোর জায়গায় আসতে না পারে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে খাবারের সন্ধানে শাবকসহ ১৯টি বন্যহাতি পার্কের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ঐ সময় পার্কের ১০০ হেক্টরজুড়ে সৃজন করা চারণভূমির বনায়নের প্রায় ৭০ হেক্টর বাগান একেবারে নষ্ট করে দেয় হাতিগুলো। এবারও একটি হাতির পাল সেই বাগানে হানা দিয়েছে। পার্কে আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভ্রমণের স্থান তথা পার্কের বন্যপ্রাণীর বেস্টনী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খাবারের সন্ধানে প্রতিনিয়ত হাতির পাল সাফারি পার্কে ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় পার্কের পর্যটক-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ