নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলীর কর্ণেল জোনস সড়কের পিটুপি ফার্ণিচারের গুদামে আগুনে পুড়ে অঙ্গার দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনো (রাত সাড়ে ১০টা) পাওয়া যায়নি। উপরন্ত ফার্ণিচার কারখানাটির মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানাটিতে ৬০-৭০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলেন জানান কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকালের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ‘পি টু পি’ নামের ওই ফার্ণিচার কারখানা ও গুদামের বেশির ভাগ আসবাব ও কাঁচামাল পুড়ে গেছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন কারখানায় ওয়েল্ডিং এর কাজ করার সময় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার পর থেকে ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের কাউকে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস পায়নি বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক তদন্ত নাজমুল হাসান।
নিহত দুই জনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এদের একজনের নাম শাহাদাত হতে পারে বলে ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বড় এলাকাজুড়ে অবস্থিত দোতলা কাঠামোর এ কারখানায় কাঠসহ দ্রাহ্য অনেক পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার। তিনি বলেন, ওই ফার্ণিচারের গুদাম ও কারখানায় বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ, ফোম, তৈরি ফার্ণিচার, বার্নিশের রঙ, তারপিন, ফিনাইলসহ বিভিন্ন দ্রব্য পুড়তে দেখেছি। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কার যায়নি। তদন্তের মাধ্যমে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কর্নেলহাটের ওই কারখানায় বিকাল পৌনে চারটায় আগুনের সংবাদ পেয়ে তিনটি ইউনিটের ১৩টি গাড়ি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফারুক জানান, অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার পর মালিকপক্ষের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, ওই কারখানায় শ’খানেক শ্রমিক দৈনিক ও মাসিক বেতনের ভিত্তিতে চাকরি করেন। সেকারণে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পি টু পি ফার্ণিচারের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূলত ওইখানে তৈরি ফার্ণিচার রাখা হতো। সেখানে ওয়েল্ডিং করার সময় বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ওই সময় সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছিল বলে জানান তিনি।
ডিসি/এসআইকে/আরসি