সন্দ্বীপে স্পিডবোটডুবে নিখোঁজ আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার

উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলে কালবৈশাখী ঝড়ে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উড়িরচর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় এখনও দুই জন নিখোঁজ।
উদ্ধার শিশুটি নিখোঁজ যমজ বোন ইসরাত জাহান আদিফা ও ইসমত জাহান আলিফার (৮) মধ্যে একজন।  তাদের বাড়ি উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  তাদের বাবা ওমানপ্রবাসী মো. আলাউদ্দিন।  মায়ের নাম পান্না বেগম।
গত ২০ এপ্রিল দুর্ঘটনার পর বড় মেয়ে নুসরাত জাহান আনিকার (১২) লাশ উদ্ধার করা হয়।  এরপর থেকে যমজ কন্যা আদিফা ও আলিফা (৮) নিখোঁজ ছিল।  একই ঘটনায় তাদের এলাকার মো. সমীরের ছেলে মো. সৈকত (১০) এখনও নিখোঁজ।
আনিকা মগধরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। আদিফা ও আলিফা মগধরা সখিনা ওয়াজিউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো।  সৈকত একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
আনিকার মামা ওসমান গনি বলেন, ‘গত ১৪ এপ্রিল দুলাভাই (আলাউদ্দিন) ওমান চলে যান।  বাবাকে বিদায় জানাতে আমার সঙ্গে আনিকা ও তার ছোট দুই মেয়ে আদিফা ও আলিফা চট্টগ্রাম শহরে যায়।  বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
এদিকে স্পিডবোটডুবির ঘটনা তদন্তে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়।  সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।  দুর্ঘটনায় নিহত আনিকার মরদেহ দাফনের জন্য তার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানান, ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।  সকালে নিখোঁজ একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।  এখনও নিখোঁজ দুই জন।  তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

ডিসি/এসআইকে/এসইউআর